মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুরু করে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়া নগদ-এর পাঁচ বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদানের আড়াই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের তথ্য খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয়।
নতুন গভর্নর নিয়োগের সপ্তাহখানেক পরই, ডাক বিভাগের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত নগদ-এর বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি চিঠি দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিদেশি উদ্যোক্তা কোম্পানিগুলোর তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছে। এতে কোম্পানিগুলোর নিবন্ধনপত্রও সংযুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, “ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার আগে ও পরে বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। কোনো ভুল তথ্য থাকলে চুক্তি বাতিল হতে পারে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে যে, নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের পাঁচটি বিদেশি উদ্যোক্তা কোম্পানির নিবন্ধন, ঠিকানা, মালিকানা কাঠামো, ব্যবসায়িক কার্যক্রম, এবং গত তিন বছরের কর পরবর্তী মুনাফা ও সম্পদের পরিমাণসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে।
এই পাঁচটি বিদেশি কোম্পানি হলো: ব্লু হেভেন ভেঞ্চারস এলএলসি, অসিরিস ক্যাপিটাল পার্টনারস এলএলসি, জেন ফিনটেক এলএলসি, ফিনক্লুশন ভেঞ্চারস পিটিই লিমিটেড এবং ট্রপে টেকনোলজিস এলএলসি।
চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদকে ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করে। তখন তফসিলি ব্যাংকের তালিকায় নগদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
একজন ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, “সরকার পরিবর্তনের আগে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক চালু করা হয়েছিল বিশ্লেষণ ছাড়াই। সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ব্যাংক কোম্পানি আইনে বিশেষ ছাড় দিয়ে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি-কে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন।”
ডিজিটাল ব্যাংকিং চালুর উদ্দেশ্য হলো নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরি করা, যা সরকারের একটি উদ্যোগ।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের জুন থেকে লাইসেন্সের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করে এবং ২৫ অক্টোবর আটটি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ধাপের এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো নগদ, এসিআই-এর ‘কড়ি’, ব্র্যাকের উদ্যোগ বিকাশ, এবং ব্যাংক এশিয়ার উদ্যোগ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেড। এরপর আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম শুরু করার জন্য লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।