উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৭ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে, যা যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে এবং নিয়মিতভাবে যানজটের সৃষ্টি করছে।
কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের এসপি খায়রুল আলম জানিয়েছেন, বুধবার গভীর রাত থেকেই মহাসড়কটি পানিতে ডুবতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুমিল্লার নবগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়।
এছাড়া, একই সময়ে ফেনীর লালপুল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে, যেখানে যানবাহন চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী হানিফ এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার সোহেল মিয়া জানিয়েছেন, “ভোরে কক্সবাজার যাওয়ার পথে মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন এলাকায় পানি দেখতে পাই। ফলে গাড়ি চালাতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়।”
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি বাসের চালক আবদুল কাদের বলেন, “মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পানি জমেছে, যা গাড়ি চালানোকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছে। ধীরগতির কারণে সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে, যা যাত্রী ও চালকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে।”
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অন্তত ৫টি স্থানে পানি বাড়ছে এবং প্লাবিত এলাকা ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে। একই ধরনের পরিস্থিতি ফেনীর লালপুল এলাকার আশপাশেও বিরাজ করছে, যেখানে মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন ধীরগতিতে চলছে, ফলে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা খায়রুল আলম বলেন, “মহাসড়কের ফেনী ও চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন এলাকা বুধবার গভীর রাত থেকেই প্লাবিত হতে শুরু করেছে। সময় যত গড়াচ্ছে, পরিস্থিতি ততই খারাপ হচ্ছে। বর্তমানে প্লাবিত এলাকাগুলোতে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।”