স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। এ জন্য ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে জেলা প্রশাসককে সভাপতি এবং জেলা সিভিল সার্জনকে সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১) উপসচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শহীদ ও আহতদের একটি খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তৈরি করেছে। এই তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই বিশেষভাবে প্রয়োজন। এ জন্য মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই করতে জেলা প্রশাসককে সভাপতি এবং জেলা সিভিল সার্জনকে সদস্য-সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
কমিটির গঠন:
১. জেলা প্রশাসক – সভাপতি
২. পুলিশ সুপার – সদস্য
৩. পরিচালক/তত্ত্বাবধায়ক, মেডিকেল কলেজ/জেলা সদর হাসপাতাল – সদস্য
৪. উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সংশ্লিষ্ট উপজেলা) – সদস্য
৫. উপপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর – সদস্য
৬. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক (২ জন) – সদস্য
৭. উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা – সদস্য
৮. সিভিল সার্জন, সংশ্লিষ্ট জেলা – সদস্য সচিব
কমিটির কার্যপরিধি:
১. প্রতিটি জেলার শহীদ ও আহতদের তালিকা সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করা।
২. প্রেরিত তালিকায় তথ্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা অসম্পূর্ণ হলে তা সঠিককরণ।
3. ভুল তথ্য পাওয়া গেলে তা বাতিলের সুপারিশ করা।
4. তালিকার বাইরে থাকা শহীদদের সঠিক তথ্য পেলে তা অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া।
5. আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করা তালিকা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে জমা দেওয়া।
6. কার্যক্রমে ফোকাল পারসন হিসেবে উপসচিব উম্মে হাবিবা এবং সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নিকারুজ্জামান সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
7. কেবলমাত্র গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে শহীদ ও আহতদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত জেলা পর্যায়ের যাচাই-বাছাই কমিটি চূড়ান্তকরণসহ নির্ভুল তালিকা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করতে অনুরোধ করা হলো।