ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, এই অর্থ সহায়তা দুটি কিস্তিতে জ্বালানি খাতের খরচ মেটানোর জন্য ব্যবহার করা হবে।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে বিশ্বব্যাংকের একটি দল সংস্থাটির যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের প্রধান কার্যালয় থেকে ঢাকা সফরে আসবে। তারা বাজেট সহায়তা ও অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে। সরকার ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চাইলেও চূড়ান্ত অর্থের পরিমাণ নির্ভর করবে আলোচনার ফলাফলের ওপর।
এদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর এলাকায় কর্মসংস্থানের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ৪০ কোটি ডলার সহায়তা পেতে আলোচনা চলছে। এটি চূড়ান্ত হলে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে ২০ কোটি এবং কোরিয়া থেকে আরও ১০ কোটি ডলার সহজে পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বহুজাতিক সংস্থাগুলো সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে, যার মধ্যে রাজস্ব এবং ব্যাংক খাতসহ আর্থিক খাতের সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনি সংস্কার, ভর্তুকি কমানো এবং করছাড় হ্রাস অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই শর্তগুলো পূরণের ওপর নির্ভর করবে অর্থছাড়ের বিষয়টি।
গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সরকার এডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থার কাছ থেকে ৮০০ কোটি ডলারেরও বেশি বাজেট সহায়তা নিয়েছে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে আসায় সরকার বাজেট সহায়তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, ডলার সংকট মোকাবিলায় রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয়, এবং বিদেশি ঋণের পাশাপাশি বাজেট সহায়তার জন্যও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।