Headlines

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৪: শিক্ষা প্রসারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী

বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) পালিত হবে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

দিবসটি উদযাপনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর রোববার একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—“বহুভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা।”

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। অনুষ্ঠানটি ঢাকার তেজগাঁওস্থ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এক বাণীতে বলেন, “বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।”

তিনি বলেন, “শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে সর্বজনীন শিক্ষার প্রসারে আমাদের সংবিধানে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি নিরক্ষরতা দূরীকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতি গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনায় শিক্ষা খাতের উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।”

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষা সমাপ্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে, ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা কার্যক্রম দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।”

প্রধান উপদেষ্টার বাণী

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।”

তিনি বলেন, “শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার এবং দেশের উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার। নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক উভয় ধারার শিক্ষা কার্যক্রম অপরিহার্য। এ দিবসের মূল লক্ষ্য জনগণকে শিক্ষা ও সাক্ষরতার বিষয়ে সচেতন করা এবং তাদেরকে মানবসম্পদে পরিণত করা।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “মায়ের ভাষায় সাক্ষরতার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে আমাদের শিশু, কিশোর ও যুবদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। বহুভাষায় সাক্ষরতালব্ধ জ্ঞান বিভিন্ন দেশের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করবে। এবছরের প্রতিপাদ্যও তা নির্দেশ করে।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, “সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে। এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *