বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে হতাশার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “লোকজনের জন্য বাজারকে আরও সুখকর করতে আমরা কাজ করছি।”
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের পোল্ট্রি খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য শুধুমাত্র উৎপাদন খরচ নয়, আরও অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। বাংলাদেশে কোনো জিনিসের দাম একবার বেড়ে গেলে তা সহজে কমতে চায় না এবং সময় নেয়।
তিনি আরও বলেন, উৎপাদক থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত দামের ব্যবধান কমাতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে, আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। ট্যাক্স ও ট্যারিফ বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীদের বলেছি, পরিবহন খরচ কমেছে এবং অন্যান্য ব্যয়ও কমবে, যা উৎপাদিত পণ্যের মূল্যে প্রতিফলিত হতে হবে। বাংলাদেশে পণ্যের দাম একবার বেড়ে গেলে সহজে কমে না, এটি আর চলবে না।”
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পণ্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “বর্তমান পণ্যমূল্য খুব খারাপ বলা যাবে না। আমরা মোটামুটি সন্তোষজনক অবস্থানে আছি এবং বাজারকে আরও সুখকর করার চেষ্টা করছি।”
এসময় বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রেয়াজুল হকসহ পোল্ট্রি খাতের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।