চার মাস সাত দিন পর অবশেষে কাঙ্ক্ষিত মাছের চালান কাপ্তাই হ্রদের ঘাটে এসে পৌঁছেছে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে রাঙামাটির মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ফিশারি ঘাটে ব্যবসায়ী, শ্রমিক, এবং বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
জেলেরা মাছ ধরে যেমন খুশি, তেমনি ব্যবসায়ীরাও ঘাটে মাছ বুঝে পেয়ে আনন্দিত। দিনের শুরুতে জেলেদের জালে বড় মাছ কম পড়লেও কাচকি, চাপিলাসহ ছোট মাছের আধিক্য ছিল চোখে পড়ার মতো। বিএফডিসির কর্মকর্তারা ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, হ্রদে এখনো পানি থাকায় বড় মাছ কম ধরা পড়ছে, তবে পানি কমলে বড় মাছ ধরা পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
জেলা প্রশাসন শনিবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
প্রাকৃতিক প্রজনন ও কার্পজাতীয় মাছের বংশবিস্তারের জন্য প্রতি বছর তিন মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ বছর ২৪ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পর্যাপ্ত পানির অভাবে মাছের বংশবিস্তার সুষ্ঠুভাবে না হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও দুই দফা বাড়ানো হয়।
বিএফডিসি রাঙামাটি বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, প্রথম দিনের শুরুতে ছোট মাছ বেশি ধরা পড়লেও, পানি কমলে বড় মাছ পাওয়া যাবে। তিনি আরও জানান, এ বছর হ্রদে পানি থাকায় বেশি মাছ ধরা পড়ার এবং ভালো রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে।