আগের দিনের বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয়নি। দ্বিতীয় দিনটি কিছুটা আশার কথা নিয়ে শুরু হলেও, প্রথম সেশন ছিল হতাশাজনক।
তবে, মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত পাঁচ উইকেট ও শেষে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ফলে দিনটি বাংলাদেশের নামে চলে এসেছে। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ খেলায়, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ২৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রান সংগ্রহ করেছে।
বাংলাদেশকে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ, যিনি ৬ বলে কোনো রান না দিয়ে আব্দুল্লাহ শফিককে বোল্ড করেন। যদিও এরপর কিছুক্ষণ চাপ ধরে রাখার পর বাংলাদেশ আর কোনো উইকেট লাভ করতে পারে না।
প্রথম সেশনের বাকি সময় কাটান সায়েম আইয়ুব ও শান মাসুদ। তাদের দারুণ জুটির মাধ্যমে পাকিস্তান দ্রুত রান সংগ্রহ করতে থাকে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ২৫ ওভারে ১ উইকেটে ৯৯ রান তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
বিরতি থেকে ফেরার তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশের জন্য সুখবর নিয়ে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ, যিনি শান মাসুদকে এলবিডব্লিউ আউট করেন। এরপর আইয়ুবকেও আউট করেন মিরাজ, যিনি ১১০ বলে ৫৮ রান করে স্টাম্পিং হন।
তাসকিন আহমেদ সেশনে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটটি অর্জন করেন। ২৮ বলে ১৬ রান করা ব্যাটারটি তাসকিনের বল স্কয়ার অঞ্চলে খেলতে গিয়ে স্টাম্প আউট হন। পাকিস্তানের আরও বিপদ সৃষ্টি করেন সাকিব আল হাসান, যিনি ৭৭ বলে ৩১ রান করা বাবর আজমকে এলবিডব্লিউ আউট করেন। পরের বলেই, শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে আগা সালমানের ক্যাচ মিস করেন জাকির হাসান, কিন্তু সালমানকে নিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান সেশনের বাকি সময় পার করেন।
বিরতির পর বাংলাদেশ তাদের শেষ রিভিউও হারায়, যখন নাহিদ রানার বলের আইয়ুবের ক্যাচ নিয়ে ভুল রিভিউ নেয়। কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশ উইকেট লাভ করে, যখন নাহিদের লাফানো বল রিজওয়ানের ব্যাট ছুঁয়ে স্লিপে ক্যাচ হয়।
মেহেদী হাসান মিরাজ সালমান আলি আগা ও খুররাম শেহজাদের ২৪ রানের জুটি ভেঙে দেন। খুররম মিড অফে মিরাজের বলে ক্যাচ দেন। এটি ছিল মিরাজের তৃতীয় উইকেট। পরে মোহাম্মদ আলি ও আবরার আহমেদকে আউট করে তিনি নিজের ক্যারিয়ারের ১০ম ফাইফার পূর্ণ করেন।