বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরী আট বছর পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঞ্জুর হোসেন জানান, সর্বশেষ মামলায় আসলাম চৌধুরীর জামিননামা কারাগারে পৌঁছানোর পর তা যাচাই-বাছাই করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আসলাম চৌধুরীর আইনজীবী কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মোট ৭৬টি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭৫টি মামলায় তিনি আগেই জামিন পেয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০১৩ সালের একটি মামলায় তিনি জামিন পেয়ে মুক্তি পেলেন।
আসলাম চৌধুরীর মুক্তির খবরে সকাল থেকেই বিএনপির শত শত নেতা-কর্মী বৃষ্টির মধ্যে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেন নেতা-কর্মীরা। এরপর তাঁরা ট্রাক মিছিল করে আসলাম চৌধুরীকে নিয়ে সীতাকুণ্ডের উদ্দেশে রওনা দেন।
২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন সন্দেহজনক হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। একই বছরের ২৬ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর গুলশান থানায় তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়, যেখানে অভিযোগ করা হয় যে, তিনি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে পরে আরও কিছু মামলা হয়। তিনি ২০১৩ সালের রাজধানীর কোতোয়ালি থানার একটি মামলায় আজ জামিনে মুক্তি পেলেন। তাঁর আইনজীবী জানান, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল এবং মামলার এজাহারে আসলাম চৌধুরীর নাম ছিল না, তবুও তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।