বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় মাত্রাতিরিক্ত আগ্রাসী আচরণের শাস্তি পেলেন জেডেন সিলস ও কেভিন সিনক্লেয়ার। আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি ডিমেরিট পয়েন্টও যুক্ত হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ক্রিকেটারের নামের পাশে।জ্যামাইকা টেস্ট শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই স্বাগতিক দলের দুই ক্রিকেটারের শাস্তির খবর জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি।আইসিসির আচরণবিধির ২.২০ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন করায় ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন সিলস। আর বদলি ফিল্ডার হিসেবে নেমে আচরণবিধির ২.৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা ও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন সিনক্লেয়ার।
১০১ রানে হেরে যাওয়া ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে মাত্র ৫ রানে ৪ উইকেট নেন সিলস। প্রায় প্রতিটি উইকেটের পর আগ্রাসী উদযাপন করতে দেখা যায় তাকে। বিশেষ করে লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে তাদের একরকম ‘সেন্ড অফ’ দেন ২৩ বছর বয়সী পেসার।সিলসের আগ্রাসী আচরণ অব্যাহত থাকে দ্বিতীয় ইনিংসেও। প্রথম ওভারে মাহমুদুল হাসান জয়কে আউট করে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমের দিকে উত্তেজিতভাবে কিছু বলতে থাকেন তরুণ পেসার।শাস্তির বিবৃতিতে আইসিসি বলেছে, উইকেট নেওয়ার পর প্রতিপক্ষের ড্রেসিং রুমের দিকে অশোভন ও অতিরিক্ত আগ্রাসী ভঙ্গিমা করেছেন সিলস।
ব্যাটিংয়ের সময় কিমার রোচ চোট পাওয়ায় তার বদলি হিসেবে ফিল্ডিংয়ে নামেন সিনক্লেয়ার। বাংলাদেশের ইনিংস শুরুর আগে স্লিপ থেকে নানান কিছু বলতে থাকেন তিনি। আম্পায়াররা কয়েকবার সতর্ক করলেও কোনো লাভ হয়নি।
তাই সিনক্লেয়ারকে শাস্তির কারণ হিসেবে আইসিসির বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালে আম্পায়ারদের নির্দেশনা অমান্য করার কথা বলা হয়েছে।
ক্যারিবিয়ান দুই ক্রিকেটারই নিজ নিজ অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।