বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাকিব আল হাসানের জনপ্রিয়তা কমেছে। সম্প্রতি, তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাকিবসহ ১৫৪ জন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা দায়ের করেছেন রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি, যার ছেলে রুবেল ৭ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। রুবেল শ্রমিক ছিলেন এবং ৫ আগস্ট মিছিল চলাকালীন পুলিশের গুলিতে আহত হন, দুই দিন পর তার মৃত্যু হয়।
এ মামলায় শেখ হাসিনা এবং অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদের নামও রয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাকিবের ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে সাকিব রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলছেন, কিন্তু বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির সময়ে তিনি দেশের বাইরে ছিলেন এবং পরে সরাসরি দলের সঙ্গে যোগ দেন। সাকিব মাগুরার সাংসদ ছিলেন, তবে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর তিনি আর সাংসদ নন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও পরিবর্তন ঘটেছে; নাজমুল হাসানের পদত্যাগের পর ফারুক আহমেদ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। সাকিবের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় রয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের বাইরে থেকে খেলা চলাকালীন। বোর্ড সাকিবকে হোম সিরিজে অংশগ্রহণ করতে হবে বলে মনে করছে, অন্যথায় তাঁকে অ্যাওয়ে সিরিজের জন্যও অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এই অবস্থায় সাকিবের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। অতীতে বিসিবি সাকিবকে বিশেষ সুবিধা দিত, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।