Headlines

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিতর্কের পর প্রচারণায় ঝাঁপালেন ট্রাম্প-হ্যারিস, নতুন বিতর্ক নিয়ে মুখোমুখি চ্যালেঞ্জ

যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। দুদিন আগে এবিসি টিভি চ্যানেলের বিতর্কে অংশ নেন কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিতর্কের পরপরই তারা পুনরায় প্রচারণায় নেমেছেন এবং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রচার চালাচ্ছেন।

ট্রাম্পের বক্তব্য

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, টিভি বিতর্কে তিনি কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি জানান, তৃতীয় কোনো বিতর্ক আর হবে না।

ট্রাম্প প্রথমে জো বাইডেনের সঙ্গে টিভি বিতর্কে অংশ নেন। তখন বাইডেন ছিলেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। সেই বিতর্কে বাইডেনের পারফরম্যান্স খুবই দুর্বল ছিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যার ফলে তিনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান।

বাইডেন সরে যাওয়ার পর কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে আসেন। হ্যারিসের সঙ্গে একবারই বিতর্কে অংশ নিয়েছেন ট্রাম্প। তার দাবি, বিভিন্ন সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, তিনি কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে বিতর্কে জয়ী হয়েছেন। তবে বেশ কিছু সমীক্ষা হ্যারিসকে জয়ী হিসেবে উল্লেখ করেছে।

ট্রাম্প বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস বরং তার কাজে মনোযোগ দিন। বিতর্কের পরপরই ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে দ্বিতীয় বিতর্কের জন্য চ্যালেঞ্জ করেন। ট্রাম্প প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “হেরে যাওয়া মানুষই বলে, আমি আবার লড়তে চাই।”

হ্যারিসের বক্তব্য

কমলা হ্যারিস নর্থ ক্যারোলাইনায় এক জনসভায় বলেছেন, “দুই রাত আগে আমি ও ট্রাম্প প্রথম বিতর্কে অংশ নিয়েছিলাম। আমি মনে করি, ভোটদাতাদের জন্য আরেকটি বিতর্কে আমরা দায়বদ্ধ।”

প্রচারণার অবস্থা

ট্রাম্প বর্তমানে অ্যারিজোনায় প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেখানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। সেখানে একটি জনসভায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন যে, নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি কর কমাবেন এবং ওভারটাইমের ওপর কর তুলে নেবেন। তিনি আরও বলেন, টিপসের ওপর কোনো কর বসানো হবে না, যা হ্যারিসও সমর্থন করেছেন।

রয়টার্স/আইপিএসওএসের সমীক্ষা অনুযায়ী, ৫৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন বিতর্কে হ্যারিস জয়ী হয়েছেন, আর ২৪ শতাংশ ট্রাম্পকে বিজয়ী মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *