মধ্য ইউক্রেনের পোলতাভা শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৫১ জন নিহত এবং ২৭১ জন আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের স্থল বাহিনী জানিয়েছে, একটি মিলিটারি একাডেমি ও কাছাকাছি একটি হাসপাতালে রাশিয়ান মিসাইলের আঘাতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই মিলিটারি একাডেমিতে একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে ক্যাডেটদের জড়ো করা হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমান হামলার সতর্কতা সংকেত বাজানোর পর বোমা শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মানুষের কাছে পর্যাপ্ত সময় ছিল না।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার জন্য রাশিয়াকে মূল্য দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি মিত্রদেশগুলোর কাছে আরও বেশি বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ইউক্রেন নিজেও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে সক্ষম হয়। মস্কো এখনো এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে পোলতাভা মিলিটারি কমিউনিকেশন ইনস্টিটিউটে যোগ দেওয়া ২৬ বছর বয়সী ক্যাডেট মিকিটা পেট্রোভ হামলার মুহূর্তটি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “প্রথম মিসাইল আঘাত করার মাত্র তিন সেকেন্ড পরে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে। ওই সময় অনেক মানুষ বিল্ডিংয়ের বাইরে সিগারেট খাচ্ছিলেন, তাদের অনেকেই মারা গেছেন। আমি বাইরে দৌড়ে গিয়ে দেখি, সর্বত্র ধোঁয়া, ধুলো, প্রচুর রক্ত এবং অসংখ্য মৃতদেহ।”