ভাঙ্গা থানায় সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেনসহ (বরখাস্ত) ১১০ জন ও অজ্ঞাত ৬০ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেছেন ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান, যিনি তাসকিন রাজু নামে পরিচিত।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল ইসলাম। তিনি জানান, সন্ধ্যার আগে একটি অভিযোগ পেয়েছেন এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নেওয়া হবে।
অভিযোগের পর আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র এমপির সমর্থকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা মামলা থেকে বাঁচতে নানা জায়গায় দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী একাধিক শিক্ষার্থী।
মামলার বাদী তাসকিন রাজু ও অন্যান্য আন্দোলনকারীরা জানান, এজাহার দেওয়ার পর আসামিরা বিভিন্ন জায়গায় ছুটোছুটি শুরু করেছেন এবং একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। আন্দোলনকারীদের কাছে একাধিক ছবি ও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। তারা দাবি করেন, সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী ও তার সহযোগীদের চিহ্নিত করে আইনগত বিচার নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিক্সন চৌধুরী ও শাহাদাৎ হোসেনের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের জীবনহানি ও চাঁদাবাজি করতেন। প্রতিবাদ করলে হুমকি ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতেন। ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও তারা শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
৩ আগস্ট ভাঙ্গা পৌরসভা এলাকায় আন্দোলনের সময় আসামিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাধা দেয় এবং পিস্তল ও শটগান ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ফলে আন্দোলনকারীরা প্রাণ বাঁচাতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। আসামিরা ভবিষ্যতে আন্দোলন করলে হত্যার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর-৪ এর সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন পলাতক থাকায় মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ফরিদপুর সদর সার্কেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, তদন্ত শেষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।