স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্রচেষ্টা চলছে। তিনি উল্লেখ করেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিনামূল্যে টিকিট প্রদান করেছে। যদি অন্য কেউ সহায়তা না করে, তবে সরকার নিজেই ব্যবস্থা নেবে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আজাদ বলেন, “আন্দোলনে আহত ছাত্রদের মধ্যে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা গেলে, তার দায়ভার আমাদের হবে। এজন্য আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি এবং আহতদের বিদেশে চিকিৎসার চেষ্টা করছি।”
তিনি আরও জানান, আহতদের সংখ্যা নিরূপণের জন্য একটি টাস্কফোর্স বা কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা সাবেক স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন তথ্যসূত্র এবং ডাটাবেইজ ব্যবহার করে সঠিক সংখ্যা নির্ধারণের চেষ্টা করছেন, তবে এটি চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।
সিনিয়র সচিব বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, ১৯ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন এবং সাত শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আমরা আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের চেষ্টা করছি এবং সরকারি হাসপাতালগুলোর ডাটা এন্ট্রি সিস্টেম উন্নত করার মাধ্যমে ভবিষ্যতের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়, যা পরবর্তীতে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। অভিযোগ ওঠে, তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার আন্দোলন দমনের জন্য অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে এবং বহু ছাত্র-জনতার প্রাণহানি ঘটে। ৫ আগস্ট ওই সরকারের পতন ঘটে এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।