Headlines

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন টেলিটকের উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১০টি প্রস্তাবনা পেশ করেছে

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দশটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে। বৃহস্পতিবার, সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে টেলিটক জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে টেলিটকের কেবলমাত্র উপস্থিতি হলেও, এর সেবা ব্যবহারিকভাবে অপ্রতুল। টেলিটকের অপর্যাপ্ত রিটেলার, সার্ভিস সেন্টার, তথ্যের অভাব এবং নিম্নমানের নেটওয়ার্কের কারণে গ্রাহকদের আস্থা নেই।

তিনি বলেন, যদিও টেলিটকের কলরেট ও ডাটা রেট কম, বিটিআরসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এর গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৬৫ লাখ, যা অন্যান্য প্রাইভেট অপারেটরের তুলনায় কম। এর ফলে টেলিটক ব্যবসায়িকভাবে টেকসই হতে পারছে না।

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন কিছু প্রস্তাব করেছে: ১. টেলিটকের বোর্ড পুনর্গঠন করে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে। ২. টেলিটকের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ টেলিটক’ করার প্রস্তাব, যাতে কর্মকর্তারা আরও অনুপ্রাণিত হন। ৩. নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করে দেশের সব অঞ্চলে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ৪. কম খরচে নতুন ভয়েস ও ডাটা প্যাকেজ অফার দিতে হবে এবং মার্কেটিং কার্যক্রম শক্তিশালী করতে হবে। ৫. টাওয়ারগুলোর ব্যাটারি দ্রুত পরিবর্তন করে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ৬. প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কার করে কর্মীদের জন্য উন্নত কাজের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ৭. দেশের সব এলাকায় সিম কেনা এবং রিচার্জ করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ৮. টেলিটক বিক্রয়ের চেষ্টা বন্ধ করে জনসাধারণের কোম্পানিতে রূপান্তরের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৯. ফাইভ-জি প্রকল্পের দুর্নীতি তদন্ত করতে হবে। ১০. বিটিসিএলের কর্মকর্তাদের টেলিটকে নিয়োগ না দেওয়ার আহ্বান।

এ প্রস্তাবনার মাধ্যমে টেলিটকের সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধা নিশ্চিত করার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *