ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসককে মারধর এবং হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন এবং রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হাসপাতালের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর হাসপাতালে হট্টগোল ও জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, একটি বিষপানকারী রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের হুমকি ও ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া, খিলগাঁও থেকে আহত যুবক আসার পর দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়, যা জরুরি বিভাগে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সেনাবাহিনী গিয়ে কয়েকজনকে আটক করে।
হাসপাতালের এক সূত্র জানায়, চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ে। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেন। রাতেই আবারও জরুরি বিভাগে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
এর ফলে, ঢামেকের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও সব ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৯টার পর জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসাররা তাদের কক্ষ বন্ধ করে দেন এবং টিকিট কাউন্টারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে হাসপাতালের সামনে রোগীদের ভিড় বাড়ে এবং অনেককে অন্য হাসপাতালে ছুটতে দেখা যায়।
নরসিংদী থেকে আহত সুমনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়, কিন্তু চিকিৎসক না পেয়ে তারা অন্য হাসপাতালে চলে যান। সিয়াম নামের দুই বছরের শিশুকে নিয়ে আসা বাবা-মা জানান, তাদের শিশুর জ্বরের চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জরুরি বিভাগে হট্টগোলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।