মানুষের মাঝে বিশৃঙ্খলা, অন্যায়-অবিচার, দুঃশাসন দেখা দিলে দেশ, সমাজ, গ্রামে অশান্তি নেমে আসে। পরস্পর ক্ষতিসাধনে লিপ্ত হলে বিপর্যয়ে ছেয়ে যায় মানুষের জীবনযাপন।
ছিদ্রান্বেষণকারীর অত্যাচারে শান্তি-স্বস্তিতে থাকতে পারে না ব্যক্তি। আল্লাহ তাআলা মানুষের দোষ অনুসন্ধান ও ব্যক্তির পেছনে অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে নিষেধ করেছেন। ইসলামে অন্যের দোষ অনুসন্ধান ও মন্দ ধারণা করা পাপ। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা বেশি অনুমান থেকে বেঁচে থাকো।
কারণ কিছু কিছু অনুমান তো পাপ এবং তোমরা কারোর গোপনীয় দোষ অনুসন্ধান করো না। ’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১২)
মানুষের ব্যক্তিগত পাপাচার ও দোষ অনুসন্ধান করা, ক্ষতি করা, ব্যক্তিগত স্বার্থ অর্জনের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা ও গোয়েন্দাগিরি করা নিষিদ্ধ। লুকিয়ে কারো কথা শোনা, ঘরের ভেতর উঁকি দেওয়া, ফেসবুকের আইডি হ্যাক করা, পাসওয়ার্ড চুরি করা, ইনবক্স চেক করা, গোপনীয়ভাবে কারো ছবি তোলা, ভিডিও ধারণ করা, কথা রেকর্ড করা ইত্যাদি হারাম। তবে দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা প্রকল্পে, চোর-ডাকাত, খুনি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, মাদক কারবারি, ঋণখেলাপি, প্রতারক ও ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত লোকদের খোঁজে বের করতে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে ।
কল্যাণার্থে মানুষের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা অপরিহার্য। আল্লাহ তাআলা দোষ-ত্রুটি গোপনকারীর দোষ গোপন করেন। তাকে উভয় জগতে পুরস্কৃত করেন। মানবতার নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন রাখে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৯৪৫)