বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খালাস পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দশ বছর ধরে এই মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি এবং নানা ধরনের হেনস্তার মুখোমুখি হয়েছি। আজ প্রমাণিত হলো যে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।”
দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানায় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে ১৪ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। মোট ৯ জনের সাক্ষ্য নিয়ে বিচারক বৃহস্পতিবার রায় প্রদান করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালীন খন্দকার মোশাররফ হোসেন ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা’ পাচার করেছেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেন যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েডস টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২.৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা) জমা করেছেন।
বৃহস্পতিবার খালাসের রায় প্রদান করে বিচারক বলেন, “দুদক কর্মকর্তা অত্যন্ত অসতর্কভাবে মামলা করেছেন। মামলা করার আগে আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। তারা মূল কাগজপত্রের পরিবর্তে কেবল ফটোকপি দাখিল করেছে।”
মোশাররফ হোসেনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন ও মোহাম্মদ তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, এবং দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আহমেদ আলী সালাম।