চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ৪০টি উপজেলার ২৬০টি ইউনিয়নে সাম্প্রতিক বন্যার প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ সকল এলাকায় ১,১৯৬টি মেডিক্যাল টিম ২৪ ঘণ্টা সেবা দিচ্ছে। মন্ত্রণালয় জানায়, বন্যাকবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, জরুরি ওষুধ, ওরস্যালাইন, কলেরা স্যালাইন এবং অ্যান্টি-ভেনম মজুত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বন্যাপ্রবণ এলাকার সব স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদেরকে অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির ক্ষেত্রে অগ্রিম প্রস্তুতি নিতে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরে একটি বন্যা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে (মোবাইল নম্বর ০১৭৫৯১১৪৪৮৮), যা দেশের সব স্বাস্থ্য স্থাপনার সঙ্গে সার্বক্ষণিক সংযুক্ত। সিভিল সার্জন এবং বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়েও কন্ট্রোল রুম চালু রয়েছে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশে মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক সমন্বয় ও তদারকি করছে।